কিছু কথা

প্রিয় অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ,
আম্বিয়া খাতুন আইডিয়াল একাডেমির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। মা, মাটি ও দেশ আমাদের সুস্থ চেতনার জন্য পরিপূরক ও অপরিহার্য তিনটি বিষয়। এই বিদ্যায়তনটি প্রতিষ্ঠার শুরুতেই আমি আমার জন্মদাত্রী মায়ের শরণাপন্ন হয়েছি। তাঁর দোয়া ও নাম নিয়েই আমার এই পথচলার যাত্রা শুরু। অর্ধযুগের সেই পথচলায় আমি আমার পরিকল্পনাচ্যুত হইনি এক বিন্দুও। যে পথচলায় আপনাদের শুভ কামনা আমার জন্য অমূল্য পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি কোনও ভাবেই বাণিজ্যিক নয়। তা করার মানসিকতা থাকলে, অন্য বিষয়ের দিকে ঝুঁকতাম! এই ঝুঁকিময় পথে আসতাম না!

মা যেমন তার প্রিয় সন্তানকে স্নেহ ও মমতায় আগলে রাখে, আম্বিয়া খাতুন আইডিয়াল একাডেমিও সেভাবেই তার ছাত্র-ছাত্রীদের আগলে রেখেছে। প্রথমেই আমরা একটি ছায়াঘেরা নিরাপদ পরিবেশে আমাদের একাডেমিক ভবন স্থাপন করেছি । যা ঠিক মাতৃক্রোড়ের মতো নিরাপদ ও আশ্বস্ত হবার মতো। শৈশবের সুখস্মৃতিই আমাদের আমৃত্যু মুগ্ধ করে রাখে, রাখে এক ধরনের ভালো লাগার আবেশে জড়িয়ে। একটি ছায়া সুশীতল পরিবেশে গড়া মনের মতো বিদ্যায়তন শিক্ষার্থীর মানসিকতাকে সুদৃঢ় ও পরিণত করে। করে আত্মবিশ্বাসী। পরবর্তী জীবনে তাকে রাখে নিয়ম নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সৎ।

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি আধুনিক বিদ্যালয় গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের শিক্ষা সেবার যাত্রা শুরু হয়। যুগোপযোগী পরিবেশ ও কারিকুলাম অনুযায়ী আম্বিয়া খাতুন আইডিয়াল একাডেমিকে গড়তে বদ্ধ পরিকর ছিলাম। সুপরিসর, স্থায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাস, শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠগ্রহণের সুবিধা, সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, নিরাপদ পরিবেশের এই বিদ্যায়তনে রয়েছে অভিভাবকদের প্রতীক্ষা ছাউনি। আম্বিয়া খাতুন আইডিয়াল একাডেমি ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও আধুনিকমনস্ক করে গড়ে তোলায় মনোযোগী ও সদা সচেষ্ট। যে কারণে ধর্মীয়, ক্রীড়া, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস নিয়ে আমাদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্ট।

 

শুভেচ্ছান্তে,
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
প্রধান শিক্ষক
আম্বিয়া খাতুন আইডিয়াল একাডেমি